30 C
Dhaka
Saturday, June 21, 2025

বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ ৬ দিন পর গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

advertisment
- Advertisement -spot_img

নরসিংদীর পলাশে বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ঈসমাইল হোসেন পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর মহল্লার বাসিন্দা। তিনি পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, “আজ দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রাতেই নিজ এলাকায় দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন সোহেল বলেন, “ঈসমাইল ছাত্রদলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার অনুসারীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঈসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, “গত ১৫ জুন আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালায় জুয়েলের লোকজন। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ঈসমাইলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ছয় দিন পর তার মৃত্যু হয়। আমরা এই নির্মম হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই।”

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “ঈসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে, গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসি মোড়ে ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে ঈসমাইলের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর সেদিন রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে, জুয়েলের পক্ষ থেকেও আরেকটি মামলা করা হয়।

এই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ