অনলাইনে পরিচয় আর সেখান থেকেই প্রণয়। ৪ মাসের পরিচয়ে নিজের ধর্ম গোপন করে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৭) কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান ঢাকায়। তারপর টানা ২০ দিন ধর্ষণ শেষে বন্ধুর মাধ্যমে বিক্রি করে দেন যৌনপল্লিতে। অবশেষে র্যাবের জালে ধরে পড়েছেন প্রেমিক সাতক্ষীরা জেলার শুভজিৎ মণ্ডল (১৯)।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরের দিকে র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর গ্রামের মৌতলা এলাকা থেকে শুভজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মণ্ডলের ছেলে।
জানা যায়, ভিকটিম নোয়াখালীর সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় হয় সাতক্ষীরার তরুণ শুভজিৎ মণ্ডলের। এরপর শুভজিৎ তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৭ মে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে ঢাকা নিয়ে যান। পরবর্তীতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিয়ে যান। যাত্রাবাড়ীতে তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানে শুভজিৎ তার গয়না ও টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে আবাসিক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে যৌনপল্লীর এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা গত ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি অপহরণ ও পাচারকারী গ্যাং সাব্বিরকে গ্রেপ্তারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।