গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিনভর সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় হাসপাতাল সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, নিহতরা হলেন—
- দীপ্ত সাহা
- রমজান কাজী
- ইমন তালুকদার
তবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে দুপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চৌরঙ্গী মোড়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে দুই পাশ থেকে হামলা চালায় ও ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। দফায় দফায় হামলার মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদেরকে পিছু হটানোর চেষ্টা চালায়।
এছাড়া, জেলায় ১৪৪ ধারা জারি ও চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলার মুখে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, এনসিপির গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে। এখন পর্যন্ত
- রাজধানীর শাহবাগ,
- মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক,
- চট্টগ্রাম ও সিলেট সড়ক অবরোধের খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন,
“৭২ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নয়তো আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক পোস্টে ব্লকেড সরিয়ে রাজপথের একপাশে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।