বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদের সহচর হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার উত্তরায় ডেঙ্গুর সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের জনগণের দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সরকারের সময় মহামারীতে কোনো ব্যক্তি বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের সমর্থক রয়েছেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮০৩ জন পুলিশ উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় নিযুক্ত করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তারা কেউ নিরপেক্ষ নয়, বরং সবাই হাসিনার ক্যাডার। এর মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান তিনি।
রিজভী প্রশ্ন করেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছে, তারা কিভাবে এখনও প্রশাসনে কাজ করছে? তিনি আরও উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জের ২০০ এসআই এখনও হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছেন, দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, নাহলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।