30.4 C
Dhaka
Monday, June 16, 2025

ভারত কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে বড় ভুল করেছে- ট্রুডো

advertisment
- Advertisement -spot_img

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো স্পষ্টভাবে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। এটি মূলত কানাডার নাগরিক ও খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে উঠে এসেছে।

নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো বিদেশি সরকারের হাত আছে কি না, তা তদন্ত করছে কানাডার ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স কমিশন, যা হগ কমিশন নামেও পরিচিত। বিশেষত, ভারতের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

গতকাল, হগ কমিশনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ট্রুডো। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের ধারণা ছিল আগেই, কিন্তু এখন এটি আরও নিশ্চিত।”

ট্রুডো দাবি করেন, কানাডার নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি নিশ্চিত যে ভারতের সরকারি এজেন্টরা নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত। ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের একটি জোট।

ট্রুডো আরও জানান, আগস্ট মাসের শুরুতে ফাইভ আইস জোট পৃথকভাবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং তাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জানায় যে ভারতের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য।

হরদীপ সিং নিজ্জার ছিলেন খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা। ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ট্রুডো প্রথমবারের মতো ভারতের উপর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন, যার ফলে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত ঘটে। এই টানাপোড়েনের জেরে উভয় দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে এবং সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে পৌঁছেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে ট্রুডোর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তারা বলেছে যে, কানাডা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেনি।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ