সৌদি আরব ইরানের ভেতরে ইসরাইলের বিমান হামলার কড়া সমালোচনা করেছে এবং এটিকে ‘সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে সৌদি আরবের এই বিবৃতিতে ইসরাইলের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরব সকল পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইসরাইল।
শনিবার, ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে আমরা পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শেষ করেছি এবং আমাদের লক্ষ্য সফলভাবে পূরণ হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা ইরানের নির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছি এবং ইসরাইলের প্রতি আসন্ন হুমকি প্রতিহত করেছি। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী তার মিশন সম্পন্ন করেছে।”
ইসরাইল আরও জানায়, ১ অক্টোবর ইরানের পক্ষ থেকে ইসরাইলের ওপর সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল, যা এই ঘাঁটি থেকেই পরিচালিত হয়েছিল। এর আগেও, ১৪ এপ্রিল ইরান একই ঘাঁটি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছিল।
অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে ইসরাইলি হামলায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে এবং তারা সফলভাবে এসব হামলা প্রতিরোধ করেছে। তেহরান ইসরাইলি ১০০ যুদ্ধবিমান প্রবেশের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে আক্রমণ ও ইসরাইলের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পর রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা থেমে যায়। হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এই সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন রিয়াদ সফর করে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।