চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে শুনানির সময় তিনি এ তথ্য দেন।
তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যা পর্যন্ত নানা অপরাধে শেখ হাসিনা জড়িত ছিলেন। এছাড়া এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন উপস্থিত ১৩ আসামি।
চিফ প্রসিকিউটর আরও উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যা শেখ হাসিনা করেননি। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারেরও বেশি আহত হন। এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
শুনানির শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গারদখানা থেকে আসামিদের ট্রাইব্যুনালের এজলাসে আনা হয়। এরপর বেলা ১১টা থেকে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
এই ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।