২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সকল আসামিকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছে।
রায় ঘোষণার পর বিএনপির আইনজীবীরা একে “ন্যায়বিচারের জয়” হিসেবে অভিহিত করেন। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, “তারেক রহমানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেওয়া হয়েছিল। মামলার প্রথম তিনটি চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। তবে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর চতুর্থ চার্জশিটে তার নাম যুক্ত করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আদালত প্রমাণ করেছেন যে, এই চার্জশিটটি ছিল আইনবহির্ভূত। তাই যারা এই চার্জশিটে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তারা সবাই খালাস পেয়েছেন।”
বিচারপ্রক্রিয়ার পর্যালোচনায় মি. কামাল উল্লেখ করেন, “এই রায়ের ফলে প্রমাণিত হয়েছে যে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলায় দেওয়া সাজা বৈধ ছিল না। আদালতের এই রায় তাকে ন্যায়বিচার এনে দিয়েছে।”
বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, “২১শে আগস্টের হামলার দিন আওয়ামী লীগকে প্রথমে পাশের একটি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা স্থান পরিবর্তন করে রাস্তায় সমাবেশ করেন, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। এটি তৎকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, চার্জশিটের ভিত্তিতে দেওয়া দণ্ড টেকসই নয়। কারণ, সরাসরি প্রমাণ ছাড়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া যায় না।”
হাইকোর্টের এই রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি পক্ষের মতে, এটি একটি ন্যায়বিচারের উদাহরণ, যেখানে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত মামলা থেকে তারেক রহমানসহ আসামিরা খালাস পেয়েছেন। অন্যদিকে, রায়ের প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।