বিজয় দিবস জাতির জন্য এক অনন্য দিন, এই কথা বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ শেষে জাতি বিজয় লাভ করেছে। দেশের প্রতিটি মানুষ এই যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিল। একসময় গ্রাম থেকে শুরু করে সারা দেশজুড়ে বিজয় উৎসব আয়োজিত হত। তবে ধীরে এই উৎসবের উৎসাহ কমতে শুরু করে। এবার সারা দেশে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা হবে।’
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘এবার বিজয় দিবসকে আরও আনন্দমুখর করতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। মেলা হবে বিভিন্ন উপজেলায় যেখানে চারু, কারু মেলার সঙ্গে কৃষি পণ্যের মেলা হবে এবং দেশীয় পণ্য পরিবেশন করা হবে। মেলায় শিশু, নারী, পুরুষ সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে যাতে সবাই আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এছাড়া স্কুলগুলোতেও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হবে।’
তিনি জানান, ‘পুরনো রীতির কুচকাওয়াজে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ছিল না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকতেন। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সকল শ্রেণির মানুষকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না কারণ সেনাবাহিনী এখন সারাদেশে ব্যস্ত। এটা আয়োজন করতে প্রস্তুতির প্রয়োজন। প্রধান উপদেষ্টা এইবার প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন না।’
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি থাকলেও এবার প্রধান উপদেষ্টা যাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠান হবে না। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং ঢাকায় জেলা প্রশাসন এই আয়োজন করবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাবেন। সেখানে অনুষ্ঠান হবে এবং পরে রায়ের বাজারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।’