অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাস পরও বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখনও কাজে যোগ দেননি, যার ফলে সারাদেশে অপরাধ প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “যেহেতু শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অধিকাংশই আত্মগোপনে আছেন অথবা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।”
ঢাকার রাস্তায় এখন গ্যাং ক্রাইম ও সংঘবদ্ধ অপরাধের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দোষারোপ করে বিক্ষোভকারীরা সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীই দেশের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সম্প্রতি সেনাপ্রধান এক বক্তব্যে বলেছেন, “দেশ দ্রুত অরাজকতার দিকে যাচ্ছে এবং এই অবস্থার অবসান না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। নবগঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, “বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
তবে গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, “আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের চাপের সম্মুখীন হইনি।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে, তবে এই পরিবর্তনের গতি কতটা ইতিবাচক হবে, তা নির্ভর করবে অন্তর্বর্তী সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
সুত্রা২৪