“ড. ইউনূস এসেছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। আমি মনে করি, উনি যে প্রধান কাজটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন, তা হলো—বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ঘরে ঘরে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছেন। আর এর জন্য দায়ী থাকবে আমাদের দেশের এই মেরুদণ্ডহীন, নীরব পলিটিক্যাল পার্টিগুলো।”
সম্প্রতি একটি টক শোতে এসব কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
তিনি বলেন, “ড. ইউনূস এসেছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। কিন্তু বাস্তবে উনি যা করছেন তা হলো—দেশজুড়ে বিভাজন সৃষ্টি। আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এতটাই দুর্বল আর নিরব যে, কেউই এর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে না। মনে করে, আমি বললে আমাকেই দোষারোপ করা হবে।”
অনুষ্ঠানে আলোচনার সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের প্রতি প্রশ্ন রেখে মাসুদ কামাল বলেন, “জাতীয় ঐকমত্যের ক্রাইটেরিয়া কী? এখানে কি পুরো জাতি ইনভলভ হয়েছে? আপনি কে সিদ্ধান্ত দেওয়ার যে কে স্বৈরাচারের দোসর, কে না? এসব বিষয়ের কি কোনো বিচার হয়েছে? এগুলো বেসিক প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর আছে নাকি?”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের হাজার হাজার ভোটার আছে। আমি ফেসবুকে বিভিন্ন রিল দেখি। কয়েক দিন আগে দেখলাম এক বৃদ্ধ লোক বলছেন, আমার দাদা আওয়ামী লীগ করত, বাবা করত, আমি করছি, আমার নাতিও করছে। আর আপনি বলেন আওয়ামী লীগ নাই? আপনি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন—এই দল বা লোকেরা কিছু বলতে পারবে না। তাহলে তাদের ভোট গণনায় এসেছে কি? ওদেরকে ঐকমত্যের অংশ ধরা হয়েছে?”
জাতীয় পার্টিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “আপনারা তো জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করেননি, কিন্তু তাদেরও রাজনীতি করতে দেন না কেন?”
সর্বশেষে মাসুদ কামাল বলেন, “শুনেন, ড. ইউনূস এসেছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার নামে, কিন্তু বাস্তবে তিনি ঘরে ঘরে ঝগড়া লাগিয়ে দিচ্ছেন। দেশের মেরুদণ্ডহীন রাজনৈতিক দলগুলো চুপ করে আছে। তারা কিছুই বলছে না। সবাই মনে করছে, আমি কিছু বললে আমাকেই ‘দোসর’ বলা হবে। এখন আমরা ‘মব’-এর রাজনীতির মধ্যে পড়ে গেছি।”