32.3 C
Dhaka
Wednesday, July 23, 2025

বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির মারা গেছেন

advertisment
- Advertisement -spot_img

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মাত্র এক বছর আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

সোমবার (২১ জুলাই) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আইএসপিআরের তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের বন্ধু সাইয়েদ আব্দুল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে আহতদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের শরীরের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে, সোমবার বেলা ১টা ১৮ মিনিটে বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। এটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর F-7 BGI (৭০১) মডেলের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এতে আগুন ধরে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে তখন স্কুলের জুনিয়র শাখার শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছিল। নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি— এসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল বলে জানা গেছে। ভবনে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্তে— অর্থাৎ ছুটি হওয়ার ঠিক সময়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ