অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।’
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মতপার্থক্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য আরও দৃশ্যমান করা জরুরি। না হলে তারা এটিকে দুর্বলতা ভেবে সুযোগ নিতে পারে।’
বৈঠকে অংশ নেয়া দলগুলো:
- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন
- গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি
- এবি পার্টির মজিবুর রহমান
- নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার
- গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর
- এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ
- খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের
- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক
- জেএসডির তানিয়া রব
- ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম
- বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ
- সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স
- গণফোরামের মিজানুর রহমান
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও গণঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন জানান। পাশাপাশি তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়ায় তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলেন, নির্বাচনের আগে এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে এখন থেকেই নিয়মিত সমন্বয় জরুরি।