জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা এবং তাদের দুই মেয়ের নামে পাঁচটি পাসপোর্ট রয়েছে। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ মোট আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি, তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে বেনজীর ও তার পরিবারের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। আদালত এসব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই নির্দেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ত্যাগ করেন।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশের পর তার পাসপোর্ট করার খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি পুলিশ বাহিনীতে উচ্চ পদে থেকেও বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নিয়েছেন, যা সরকারি চাকরিবিধি ও পাসপোর্ট আইনের লঙ্ঘন।