সাংবাদিক সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১১২তম বার পেছানো হলো। আদালত নতুন তারিখ হিসেবে ১৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।
গত মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা র্যাব রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজন আসামি রয়েছেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন—বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। অনেকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও আসামিরা স্বীকারোক্তি দেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর, নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানার একজন এসআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন, পরে চার দিনের মধ্যে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ দুই মাস তদন্তের পর ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে, হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে তদন্তের দায়িত্ব র্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এতদিন পরও র্যাব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।