গোপন বন্দিশালা হিসেবে পরিচিত “আয়নাঘর” এর সঙ্গে নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। আদালত থেকে কারাগারে ফেরার পথে প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি আয়নাঘরে কখনো চাকরি করিনি।”
বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ৮ জন কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন:
- সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
- এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান
- ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি
- ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা
- ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম
- যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান
- গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক
- ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ২৭ অক্টোবর এই ৮ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ ৮ কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, বুধবার তাদের মধ্যে ছয়জনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে এবং দুজনকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এদিনের শুনানিতে বিচারকের সামনে হাজির হয়ে জিয়াউল আহসান তার অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং “আয়নাঘর”-এর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন।