28.1 C
Dhaka
Monday, June 16, 2025

যাত্রাবাড়ীতে কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ৩ জন নিহতের দাবি

advertisment
- Advertisement -spot_img

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীরা কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী এবং সরঞ্জাম নিয়ে যায়। হামলায় কলেজের তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ, তবে পুলিশ এখনও এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বেলা ১টার দিকে, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনতা এবং সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, ফলে পুরো যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ হামলার সূত্রপাত ছিল মেগা মানডে ঘোষণা দিয়ে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ডিএমআরসি কলেজে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোল্লা কলেজের ছাত্ররা সড়কে অবস্থান নেন। এর আগে রোববার রাজধানীর ৩৫টি কলেজের ছাত্ররা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান নেন। এ সময় তারা কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোহরাওয়ার্দী কলেজে চলমান পরীক্ষাও এই হামলার কারণে স্থগিত হয়।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। তাদের দাবি, প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির পুনরুদ্ধার এবং প্রশাসনিক কাগজপত্র ফেরত দিতে হবে।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ আমাদের কলেজে নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে কলেজে হামলা করে। এই হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে এবং শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন, অনেকের অবস্থা গুরুতর।”

এ হামলায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কিছু শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মদদে কলেজগুলোকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হামলাকারীরা কলেজের নথিপত্র, সম্পদ এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মালামাল লুট করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এদিকে, মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত নয়, তবে হামলার সময় ব্যাপক ভাঙচুর ও দেশীয় অস্ত্রের সঙ্গে পিস্তল দিয়ে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ হামলার আগের দিন, ১৮ নভেম্বর, ডিএমআরসি কলেজের ছাত্র অভিজিতের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। ২১ নভেম্বর আবারও হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা, এতে আরও আহত হন অনেকে।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ