বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর মধ্যেই ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে তলব করেছে আদালত।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উত্থাপন করেন আইনজীবী। আবেদনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। আদালত এ সময় প্রশ্ন করেন, “এরা কারা? এদের পরিচয় কী?”
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে জানান, সরকার ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে এবং এটি সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। তবে তিনি আদালতকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানান।
আদালত আরও বলেন, “চট্টগ্রাম ও রংপুরে এ ধরনের কার্যক্রম কেন হচ্ছে?” একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আদালত। বিকেলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল এক দিন সময় চান। আদালত বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২৫ নভেম্বর, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। রাতেই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন, তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তবে এসব আন্দোলনের মধ্যেই সহিংসতার শিকার হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ইসকনের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।