বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর আবারও গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তরিকুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন। হান্নান মাসুদ লিখেছেন, “যাত্রাবাড়িতে হাসনাত আবদুল্লাহকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।” তরিকুল ইসলাম তার পোস্টে একই দাবি করেছেন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, “গতকাল রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লায় হাসনাতকে নামিয়ে দিয়েছিলাম। আজ সকালে ঢাকায় ফেরার পথে তার গাড়িকে পিছন থেকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র আর কত? কয়জন হাসনাতকে মারবেন?”

সারজিস আরও লিখেছেন, “আমাদের মনে আছে সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলো। একজন নিহত হলে আরেকজন সামনে দাঁড়িয়েছে। এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবে না। আমরা মরতে শিখেছি। তাই নতুন বাংলাদেশের পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।” স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন, “We are open to be killed.”
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ হামলা হয়।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন হাসনাত ও সারজিস। জানাজাটি জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আন্দোলনের নেতারা এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন, আর তাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতার কোনো লক্ষণ নেই। তরুণ প্রজন্মের এ দাবি নতুন বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকারকেই প্রতিফলিত করছে।