চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নিয়ে সংঘর্ষের জেরে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আসামিরা হলেন: চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, রনব, বিধান, বিকাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজকাপুর, শিব কুমার, বিগলাল, এবং আরও অনেকে।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। রায় ঘোষণার পর ইসকনপন্থি কিছু আইনজীবী ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। প্রিজনভ্যানের সামনে চিন্ময়ের সমর্থকরা অবস্থান নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়
পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। এর পরপরই আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ বাসায় ফেরার পথে আক্রমণের শিকার হন। আক্রমণকারীরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে স্লোগান দেয় এবং আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
জামাল উদ্দিন জানান, ছেলের জানাজা ও দাফন শেষ করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিএনপির এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হন। জামিন নামঞ্জুরের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর সময় সমর্থকরা প্রিজনভ্যান আটকে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। নিহতের বাবা দাবি করেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।