ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বাবা, দাদা এমনকি চৌদ্দ পুরুষের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্য এভাবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। কমিশনার জানান, নিয়োগ প্রার্থীদের এবং তাদের পরিবারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা যাচাই করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ সদস্যের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “যারা অনৈতিক কাজে জড়িত এবং পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে অপকর্ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এত সংখ্যক সদস্যকে একসঙ্গে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।”
কমিশনার উল্লেখ করেন, সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। এমনকি সেসময় সাধারণ মানুষ লাঠি হাতে পাহারা দিয়েছে। তিনি বলেন, “সে সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে ছিল। পরে পুলিশকে সক্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।”
ঢাকার ট্রাফিক সমস্যাকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে শহরে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফুটপাত দখল আর ট্রাফিক আইন অমান্যের কারণে শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন হয়ে উঠেছে।” দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দ্বিগুণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশনার বলেন, ছিনতাই রোধে ডিবি ও থানা পুলিশের ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলে পরিস্থিতি কিছুটা অবনত হয়েছিল। তবে শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকা মহানগরের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার ওপর জোর দেন ডিএমপি কমিশনার এবং নগরবাসীর সহযোগিতার আহ্বান জানান।