ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনও চক্রান্ত চলছে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, “আমি শারীরিকভাবে দূরে থাকলেও, সবসময় আপনাদের পাশে আছি। গত ১৫ বছর গণতন্ত্রের জন্য, আমার মুক্তির জন্য আপনাদের সংগ্রাম অনবদ্য। অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে এখনও ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। এই ত্যাগ শুধু দল নয়, পুরো জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ৬ বছর পর ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে। আমরা আজ একত্রিত হতে পেরেছি, যা আল্লাহর রহমত। আমি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”
দেশের সংকট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “দেশ একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। ন্যূনতম সংস্কারের পর আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়—এই নীতিতে আমাদের চলতে হবে।”
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “আমার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করেছে। তাই কোনো ভুল করা যাবে না, যা আমাদের দীর্ঘ দিনের সংগ্রামকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমাদের সবাইকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। বিভেদ নয়, ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে দলকে সুসংহত করতে হবে এবং দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও বাসযোগ্য রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হতে হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সকল বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলেই আমরা একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
সুত্রা২৪