বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে, দেশের গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে এবং দেশের ভেতরে একটি চক্র সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের সবাইকে এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্ধিত সভার পর আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করব। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে দক্ষতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেছেন তারেক রহমান। তিনি রাজনৈতিকভাবে ডান-বাম শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন।”
বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করে ফখরুল বলেন, “আপনারা দেখেছেন, বিএনপি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। এরই ফলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগণ আশা করেছিল, শেখ হাসিনার পতনের পর তারা অবাধে ভোট দিতে পারবে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু এখনও সে লক্ষ্যে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আমাদের লড়াই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য, কিন্তু সেটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, এখন সময় এসেছে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।”
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্ধিত সভা করেছিলেন। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি এক মামলায় তাকে কারাবন্দি করা হয়।
সুত্রা২৪