আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “ভোটের জন্য বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তুত। আমরা একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর।”
বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচন এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ নিজের প্রতিনিধি নিজের ভোটেই বেছে নেবে, এবং সেই নির্বাচিত সরকারের কাছেই আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।”
ড. ইউনূস আরও জানান, আগামী মাসে “জুলাই সনদ” উপস্থাপন করা হবে, যেখানে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, “তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে এই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে এবং দায়বদ্ধভাবে অগ্রসর হচ্ছে।”
নারীর ক্ষমতায়নে আন্তরিকতা
সংলাপে ড. ইউনূস নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি জানান, নারী অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে বিভিন্ন নীতিমালা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
যুক্তরাজ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা
এর আগে, যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার। সফর শেষে আগামী ১৪ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।