তিনি বলেন, মাত্র ৮ মাস আগে বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং দেশটি এখন তরুণদের উদ্যম ও সৃজনশীলতায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। ড. ইউনূস তাদেরকে শুধু ব্যবসার জন্য নয়, বরং এই পরিবর্তনের অংশ হতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে, এবং তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত। তিনি বাংলাদেশের অবস্থান এবং এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে নারীরা সবচেয়ে বড় অংশীদার। বর্তমানে বাংলাদেশ চীনের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারী দেশ।
ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে অবস্থিত, এবং প্রতিবেশী দেশগুলো, যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো ব্যবসার জন্য বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল। তিনি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে পুরো অঞ্চল এবং বিশ্বে সরবরাহ বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
তিনি একে একটি প্রডাকশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তরুণ কর্মীদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগানো সম্ভব।
সুত্রা২৪