টানা ১০ দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এরইমধ্যে এই যুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ইরানিরা। কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মেহরান কামরাভা আল জাজিরাকে বলেছেন, ইরানের জনগণ আশঙ্কা করছেন—ইসরায়েলের লক্ষ্য শুধু তেহরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর পরিসর আরও বিস্তৃত।
তিনি বলেন, বহু ইরানি মনে করেন—ইসরায়েলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইরানকে লিবিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো করে ভেঙে দেওয়া। অন্তত তেহরানের ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর মনেও রয়েছে ইরানকে টুকরো টুকরো করার চিন্তা।
তাই ইরানিদের কাছে আত্মসমর্পণ কোনো বিকল্প নয়। কারণ তারা বিষয়টিকে শুধু সরকার পরিবর্তনের উদ্যোগ নয়, বরং দেশের বিভাজন হিসেবেও দেখেন বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মেহরান।
বি-২ হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
মেহরান আরও জানান, ইতোমধ্যে ইরানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার বিষয়ে জেরুজালেমে আলোচনা চলছে। এসব সংখ্যালঘুর মধ্যে রয়েছে বেলুচ, আরব ও কুর্দি সম্প্রদায়।
এদিকে সর্বশেষ ইরানে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি দাবি করেছে, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে এবং এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।