ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থা আইএইএ’র অপেশাদার আচরণের প্রতিবাদে তেহরানের সঙ্গে সংস্থাটির সহযোগিতা স্থগিত করতে একটি বিল বিবেচনায় রয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে কালিবাফ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত ধর্মীয় ফরমানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরানের কর্মসূচির পেছনে কোনো সামরিক অভিসন্ধি নেই। তবে, আইএইএ তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি এবং এখন একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
কালিবাফ বলেন, যতক্ষণ না আইএইএ পেশাদার আচরণের স্পষ্ট নিশ্চয়তা দিচ্ছে, ততক্ষণ ইরান আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট স্পিকার মার্কিন হামলার প্রসঙ্গে বলেন, ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা ছিল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরাসরি আমেরিকার অংশগ্রহণের ঘোষণা। তিনি বলেন, “যদিও আমরা এই হামলাকে ইসরায়েলি কৌশলের ব্যর্থতা হিসেবে দেখি, তবে আমরা এটি সহ্য করব না। আমাদের প্রতিক্রিয়া এমন হবে যে, জুয়াড়ি ট্রাম্প এই আগ্রাসনের জন্য অনুতপ্ত হবে।”
এর আগে রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে ঘোষণা করেন, এটি ছিল একটি সফল অভিযান।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল প্রথম ইরানের মাটিতে হামলা চালায়, যেখানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এর জবাবে তেহরান ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালায়।
এরপর থেকে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষই হতাহতের কথা স্বীকার করেছে এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনার ক্ষতির খবর দিয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন হামলার পর তেহরান ‘নিজস্ব বিকল্প’ ব্যবহারের অধিকার রাখে।