ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তা ‘‘ধ্বংস করে দিয়েছে’’ বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির পর, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানি কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন স্বার্থ ও সামরিক স্থাপনাও টার্গেট হবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবদোল রহিম মোসাভি এক বিবৃতিতে বলেন, “অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত, ইসরায়েল নামের অবৈধ ও আগ্রাসী সন্তানের শাস্তির পাশাপাশি ইসলামের যোদ্ধাদের হাত এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে মুক্ত। এই বিষয়ে আমরা কখনই পিছপা হব না।”
ইরানে কৌশলগত প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে আসার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
ইরানের সংসদের একাধিক সদস্য এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের প্রস্তাবে সমর্থন দেবেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।
এদিকে, সোমবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আল-হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একাধিক ঘাঁটি রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর তেহরান জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি ও স্বার্থ এখন থেকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের (সিআরএস) ২০২৪ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ৫১টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর অন্তত ১২৮টি সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে। এসব ঘাঁটিতে কয়েক হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা