রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে ৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু বহনকারী একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো জীবিত ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।
অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্স পরিচালিত বিমানটি ছিল একটি অ্যান্টোনভ-২৪, যেটি প্রায় ৫০ বছর ধরে সেবায় রয়েছে। বিমানটির অতীতেও একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যার রেকর্ড রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি টিন্ডায় অবতরণের আগে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। আকাশ থেকে পরিদর্শনের সময় কোনো বেঁচে থাকা আরোহীর সন্ধান পাওয়া যায়নি, তবে স্থল অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ টেলিগ্রামে জানান, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্ধার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
শুরুর দিকে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় যাত্রীসংখ্যা ৪০ বললেও পরে সেটি সংশোধন করে ৪৯ জন জানানো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ঘন বনাঞ্চলে ধোঁয়া ও আগুনের দৃশ্য দেখা গেছে, যা সম্ভাব্য বিধ্বস্ত স্থানের ইঙ্গিত দেয়।
অ্যান্টোনভ-২৪ একটি সোভিয়েত যুগের টার্বোপ্রপ বিমান, যা ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে নির্মিত হয়েছিল। রাশিয়া এবং কিছু প্রাক্তন সোভিয়েত দেশে এই পুরনো মডেলের বিমান এখনও ব্যবহৃত হয়, যদিও তা প্রায়ই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গত কয়েক বছরে অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের এই মডেলের বিমানে ইঞ্জিন ত্রুটি, ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যাসহ একাধিক জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে এ ঘটনার পর বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উপযোগিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান