আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্র মাল্টা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট আবেলা এ ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের একই ধরনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর মাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে, ইউরোপের আরেক প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্সও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে মাল্টা সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছিল। গত জুলাই মাসে দেশটির মধ্য-ডানপন্থী বিরোধীদলও অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলে।
ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটি দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনি স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
গত মে মাসেই মাল্টার প্রধানমন্ত্রী আবেলা প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। সে সময় তিনি বলেন, জুন মাসে জাতিসংঘের এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে সেই সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও সতর্ক করে বলেন, যদি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, যুদ্ধবিরতি না আসে, পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব না থামে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতি না থাকে—তাহলে সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য।
এই ঘোষণাগুলো পশ্চিমা বিশ্বে একটি নতুন কূটনৈতিক প্রবণতা তৈরি করেছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে বৈশ্বিক অবস্থান পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাল্টার আসন্ন স্বীকৃতি সেই ধারাকেই আরও জোরালো করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স