ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ জামাল রশিদ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে তার দেশ কখনোই প্রতিবেশী দেশগুলোর, বিশেষ করে ইরানের, বিরুদ্ধে হামলার জন্য ‘লঞ্চ প্যাড’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ওপর ইসরাইলের সম্ভাব্য আক্রমণের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছে।
রবিবার বাগদাদে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে আলোচনার সময় ইরাকি প্রেসিডেন্ট এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, ইরাকের ভূমি থেকে ইরানের ওপর কোনো হামলার অনুমতি দেওয়া হবে না। এই প্রতিশ্রুতি ইরানকে আশ্বস্ত করার জন্য দেওয়া হয়েছে।
মেহর নিউজের এক প্রতিবেদনে সোমবার (১৪ অক্টোবর) এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরাকি প্রেসিডেন্ট গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরাইল পরস্পরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে, বিশেষ করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর। ১ অক্টোবর ইরান সরাসরি ইসরাইলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা হিজবল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানকে শক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ইরাকের ভেতরে অবস্থান করছে, যেখানে ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। তেহরান আশঙ্কা করছে, এই সামরিক প্রস্তুতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইরান উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, যদি কোনো দেশ তাদের আকাশসীমা ইসরাইলকে ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে সেটি ইরানের জন্য ‘ন্যায্য লক্ষ্যবস্তু’ হবে। আরব দেশগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা চায় না তাদের ভূখণ্ড থেকে ইরানের তেল স্থাপনার ওপর কোনো আক্রমণ হোক।