দিল্লির চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সমর্থনে এবং সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি’র ব্যানারে আয়োজিত এই মিছিলে প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।
বিবিসি বাংলার সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, মিছিলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে, যেখানে লেখা ছিল— “বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও, বাঁচাও সনাতন!”, “বাংলাদেশ, একাত্তর মনে করো, জুলুমবাজি বন্ধ করো!”, এবং “সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ!”।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত যেতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কারণ দূতাবাসের পথে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে তারা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভে আরএসএস নেতা রজনীশ জিন্দাল, ভারতের সাবেক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান রাজীব জৈন এবং ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রির উপস্থিতির কথা শোনা যাচ্ছে।
এর আগে কলকাতা ও আগরতলার ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে হাইকমিশন ভবনে হামলা ও কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যেই সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে এই সফর হয়। তবে সফরের পরদিনই দিল্লিতে এই বিক্ষোভ শুরু হওয়া নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।