থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক আয়োজনের জন্য ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে উভয় নেতা অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বার্তাসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, “বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেছি।”
অন্যদিকে, আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। এর মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেও তার বৈঠকের উদ্যোগের খবর সামনে এসেছে।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চীন ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাইছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূসের এই সফর কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বৈধতা আরও সুদৃঢ় করবে।
ড. ইউনূস আগামী ২৭ মার্চ হাইনানে বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নেবেন এবং ২৮ মার্চ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন, যেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ইস্যু, সীমান্তে বেড়া নির্মাণ এবং ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর মধ্যেই ইউনূসের চীন সফর এবং মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সুত্রা২৪