ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এই হামলা চালিয়েছে আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিট। তারা বলছে, ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপস্থিতি সত্ত্বেও, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। বিশেষ করে হার্জলিয়া শহরে অবস্থিত মোসাদের একটি অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্র সরাসরি হামলার শিকার হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা অবকাঠামোর ওপর সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে চালানো এই হামলায় তেল আবিবের মোসাদ সদরদপ্তর এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আমান’-এর একটি কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু হয় বলে দাবি করেছে আইআরজিসি।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর হার্জলিয়াতে একটি ‘স্পর্শকাতর’ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। সামরিক বা কৌশলগত স্থাপনাকেই সাধারণত এমন শব্দের মাধ্যমে ইঙ্গিত করা হয়।
আইআরজিসি’র বিবৃতি অনুযায়ী:
- মোসাদ সদরদপ্তরে হামলার পর সেখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
- হামলায় ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আমান’-এর একাধিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- এই হামলাকে ‘কার্যকর ও প্রতিশোধমূলক অপারেশন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।
এর আগে ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছিল। এতে নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা, একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানী এবং নারী ও শিশুসহ সাধারণ নাগরিকরা।
আইআরজিসি অভিযোগ করে, এই হামলাগুলো ছিল “বিনা উসকানিতে পরিচালিত আগ্রাসন”, যা ইরানকে পাল্টা প্রতিরোধে বাধ্য করেছে।
এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।