রাজধানীর বনশ্রীতে একটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছয়জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা আমিনুল ইসলাম, যিনি পটুয়াখালীর বাউফল শাখার প্রভাবশালী নেতা, এবং অন্যজন শ্রমিক দলের নেতা সুমন মোল্লা।
আমিনুল ইসলাম একজন পেশাদার ডাকাত, যাকে পূর্বে একাধিক ডাকাতি মামলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউপি এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় ছাত্রলীগের সদস্য। সুমন মোল্লা একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়া থেকে এবং তিনি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহদপ্তর সম্পাদক।
শনিবার (৮ মার্চ) গণমাধ্যমে তাদের পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, আমিনুল ইসলামের ডাকাতির আগের ইতিহাস রয়েছে। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর, জেলার যৌথ পুলিশ টিম তার নেতৃত্বে একটি ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছিল। আমিনুল ওই ডাকাত দলের অস্ত্রের সরবরাহকারী ও আশ্রয়দাতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, এবং তার জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এলাকার স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং তার সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বাউফল উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু জানিয়ে দেন যে, সুমন মোল্লাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি, এবং তাকে দ্রুত দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, আমিনুল একজন পেশাদার ডাকাত এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং অপরাধীকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সুত্রা২৪