স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বরই হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভাবছিল, তবে সর্বশেষ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্ধারিত সময়েই উত্তরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “লম্বা সময় ধরে এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে আলোচনা চলছিল। আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে—আমরা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২৬ সালেই উত্তরণ করবো।”
উত্তরণের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা
প্রেস সচিব আরও জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই উত্তরণ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা আরও বাড়াবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশের পথে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ সুগম হয়। ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এই পরিবর্তন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা পেছানোর চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত সময়েই অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ পাবে, যদিও বাণিজ্য সুবিধাগুলো হারানোর কারণে কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে।
সুত্রা২৪