যশোরের শার্শা উপজেলায় এক কওমি মাদ্রাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষে মনিটর জব্দ করেছে। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত ৯ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক বসবাস করতেন, এবং ওপরের চার তলায় ছাত্রীদের আবাস ছিল। অভিযানের সময় মাদ্রাসার ছাত্রীদের শোবার ঘরে দুটি নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপিত ছিল, এবং এর মনিটর শিক্ষকের কক্ষে পাওয়া যায়। পুলিশ অভিযানে ১৬টি সিসি ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, “মেয়েদের শোবার কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা অগ্রহণযোগ্য।” তিনি আরো জানান, এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড উদ্ধার করা হয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহের (৪৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তিনি যে কোনো সময় হাজির হওয়ার শর্তে মুক্তি পান।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসায় থাকা ছাত্রীর সংখ্যা নিশ্চিত করতে না পারলেও পুলিশ ৪০টির মতো ছাত্রীর নাম পেয়েছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।