জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ফাঁকে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মন্তব্য করেছেন, “ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে।”
মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মনে হয়েছে, কমিশন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কোনো দলের প্রতি বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা হলে এই সময়ের সর্বজনীন সংস্কার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
নুর বলেন, “এখনো নির্বাচন হয়নি, কাজেই কারা বড় দল, কারা ছোট দল তা নির্ধারণের সুযোগ নেই। সরকার যদি আগে থেকেই কোনো দলকে বড় বা মেজরিটি পার্টি হিসেবে বিবেচনা করে, তাহলে অন্যদের বক্তব্য গুরুত্ব পাবে না। এটা হলে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।”
আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে বা তাদের কেন্দ্রিকভাবে সংস্কার ও ঐকমত্য আলোচনার অভিযোগ জামায়াতসহ আরও কিছু দল করছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরেও বিভিন্ন গণআন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ পেশাজীবী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
নুর উল্লেখ করেন, “আমরা বারবার জোর দিয়ে বলছি— নব্বইয়ের দশকে তিন জোটের রূপরেখা ছিল, সবাই ভালো কথা বলেছিল, লিখেও দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে কেউ কথা রাখেনি। এজন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, গণভোটের মাধ্যমে এই সংস্কার বাস্তবায়ন এবং একটি আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে।”
আজকের আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন অংশ নিলেও জামায়াতে ইসলামী উপস্থিত ছিল না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার এবং ইফতেখারুজ্জামান।