স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে প্রায় ৭০ হাজার প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ইলেক্টরাল বডি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যে সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তারাই সাধারণত সেই নির্বাচনে জয়ী হয়। এ ধরনের নির্বাচনে নিরপেক্ষতা থাকেনা। তাই আমরা চাই, এসব নির্বাচন যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।”
জুলাই মাসে প্রস্তাবিত ‘জুলাই চার্টারে’ সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেই চার্টার অনুযায়ী সরকার গঠন ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।
বৈঠকের শুরুতেই জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দ তাহের বলেন, “প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে গতকালের (মঙ্গলবার) বৈঠকে আমরা অংশ নেইনি। পরে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আমীরের সঙ্গে কথা বলে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।”
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সেই বৈঠককে স্বাগত জানাই। নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না, আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব ছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা একক দল বিএনপির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও বিব্রত হয়েছে।”
তাহের আরও বলেন, “দুই-একটি দল বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার জামায়াত প্রতিনিধিদের জন্য আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। জামায়াত অনুপস্থিত থাকায় দলটির অংশগ্রহণ ছাড়াই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
👉 সূত্র: ঐকমত্য কমিশন, জামায়াতে ইসলামীস্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় জামায়াত
📍 নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জুন ২০২৫
স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে প্রায় ৭০ হাজার প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ইলেক্টরাল বডি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যে সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তারাই সাধারণত সেই নির্বাচনে জয়ী হয়। এ ধরনের নির্বাচনে নিরপেক্ষতা থাকেনা। তাই আমরা চাই, এসব নির্বাচন যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।”
জুলাই মাসে প্রস্তাবিত ‘জুলাই চার্টারে’ সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেই চার্টার অনুযায়ী সরকার গঠন ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।
বৈঠকের শুরুতেই জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দ তাহের বলেন, “প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে গতকালের (মঙ্গলবার) বৈঠকে আমরা অংশ নেইনি। পরে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আমীরের সঙ্গে কথা বলে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।”
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সেই বৈঠককে স্বাগত জানাই। নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না, আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব ছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা একক দল বিএনপির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও বিব্রত হয়েছে।”
তাহের আরও বলেন, “দুই-একটি দল বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার জামায়াত প্রতিনিধিদের জন্য আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। জামায়াত অনুপস্থিত থাকায় দলটির অংশগ্রহণ ছাড়াই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।