ঢাকা, ১২ জুলাই (সমীক্ষা সংবাদ):
মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রতি জোরালো সমালোচনা তুলেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। শনিবার (১২ জুলাই) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যু ছাড়া হত্যাকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কখনো মুখ খোলেনি।
বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে কয়েকটি মূল দিক:
- নির্বাচন নিয়ে মনোযোগ, অপরাধে নীরবতা: নামহীন চাঁদাবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে কথা না বলার জন্য বিএনপিকে বিশেষভাবে তীব্র আক্রমণ করে রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “শুধু নির্বাচন চান, খুনিদের নিয়ে কেন না কথা বলেন?”
- আওয়ামী লীগ রুখে সরলে ‘অন্যান্য দল’ ক্ষমতার মালিক: রফিকুল বলেন, “যখন আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা সরলেন, তখন বাংলাদেশের নতুন মালিক উঠে এসেছে—যারা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসে নির্বাসিত।”
- সরকারও দায় এড়িয়ে যাচ্ছে: তিনি বর্তমান সরকারের কাজ না করার কথায় কড়া সমালোচনা করেন। “থানা থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র দায়িত্বর অক্ষমতাও তীব্র।”
- সকল রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্য হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান: চাঁদাবাজদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে দলমত-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবার আহ্বান জানানো হয়। জনসাধারণের সংগ্রামকে সামনে রেখে নেতারা বলেন, “জনগণ জানে কে কারে আশ্রয় দিয়ে চাঁদাবাজদের সহায়তা করছে।”
- নির্বাচনের পূর্বে আইনশৃঙ্খলার গুরুত্ব: জামায়াত নেতারা বলেন, “জনগণ এখন শুধুই নির্বাচন চায় না—খুন-চাঁদাবাজদের বিচারও চাই,” এবং এর জন্য যুদ্ধাপরাধের মতো নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলার নীতিমূল্য প্রয়োজন।
সমাবেশ শেষে, বায়তুল মোকার্রম থেকে শাহবাগ পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃত্বের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।