বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “বিএনপি কখনো কোনো গুম-হত্যা-সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেয় না; ভবিষ্যতেও দেবে না। গুম-হত্যা-সন্ত্রাস যেই করুক, তাদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস অডিটরিয়ামে গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদ স্মরণে জেলা জাতীয়তাবাদী পরিবহন শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার রাস্তার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে দুলু বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, এদের সবাইকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা লক্ষ করছি একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে, চাঁদাবাজ বানাতে চাচ্ছে, নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর জায়গা নেই।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ এনে দুলু বলেন, “গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, গুমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক সবাই রাস্তায় নেমে এসে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে বিদায় করেছে। সেই আন্দোলনে শ্রমিকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সেদিন শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ ঢাকার সাধারণ রিকশাওয়ালারা জীবন বাজি রেখে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।”
নির্বাচন নিয়ে আশার আলো দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন দুলু। তিনি বলেন, “লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের পর দেশের মানুষ নির্বাচনের বিষয়ে আশার আলো দেখছে। কিন্তু এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কোনো কোনো দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়, কিন্তু জনগণ চায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।”
নাটোর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু রায়হান ভুলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল, ট্রাক ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যানের সভাপতি আব্দুল জলিল, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুন।