বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের বিএনপি কখনোই ছাড় দেয় না। সাম্প্রতিক ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এ শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, “সব ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে না। বিএনপি কখনো অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেয় না। রাষ্ট্রের ভেতরে অনেক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে পারে। কিন্তু বিএনপি অপরাধীদের ঢালাওভাবে রক্ষা করে না।”
রিজভী বলেন, “বিএনপি কী বলেছে? যে যারা অপরাধ করেছে, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? না, বরং খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “শেখ হাসিনা মাফিয়া-দুর্বৃত্ততন্ত্র কায়েম করেছেন। শামীম ওসমান, ইয়াবা ব্যবসায়ী বদি, নাটোরের শিমুল—এরা সবাই ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। অথচ তাদের সংসদে জায়গা দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার আশকারাতেই নারায়ণগঞ্জে শিশু ত্বকী হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। অথচ বিএনপির আমলে এমন কিছু ঘটেনি। বরং আমরা বলেছি, প্রশাসন দায়িত্ব পালন করুক, অপরাধীকে গ্রেফতার করুক।”
রিজভী বলেন, “বিএনপি একটি বিশাল পরিবার। কোথা থেকে কারা দুষ্কৃতিকারী হিসেবে ঢুকছে, সেটি সব সময় দলনেতাদের পক্ষে খেয়াল রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে, দল তাদের দায় নিচ্ছে কি না। আর বিএনপি বিন্দুমাত্র কাউকে ছাড় দেয় না।”
তিনি আরও বলেন, “সমাজের সজ্জন, আলোকিত, ভদ্র মানুষ বিএনপি করবে—এটাই বলে গেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এজন্য তখন বলা হতো, জিয়াউর রহমানের আমলে ঘরের দরজা খুলে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যেত।”