28.4 C
Dhaka
Wednesday, July 23, 2025

এনসিপির কোনো সদস্যের দিকে চোখ রাঙালে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: বরিশালে নাহিদ ও হাসনাতের হুঁশিয়ারি

advertisment
- Advertisement -spot_img

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো সদস্যের দিকে কেউ চোখ রাঙালেও তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এনসিপির বরিশাল ইউনিট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে সমাবেশ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

সমাবেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্ম নেয়নি, সংকট থেকে জন্ম নিয়েছে। তাই যেকোনো সংকট মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। এনসিপির কোনো সাধারণ সদস্যের গায়েও কেউ হাত তুললে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার লক্ষ্য সংসদ ভবন। তাই জেলা-উপজেলায় ইউনিট গঠন করে এনসিপিকে গতিশীল করতে হবে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর বলেছিলাম—ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে এখনও রক্তের দাগ। নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে। সবার হাতেই রক্ত লেগে রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক সহিংসতামুক্ত একটি বাংলাদেশ, চাঁদাবাজিমুক্ত একটি অর্থনীতি। তরুণ প্রজন্ম এখনও ঘুমিয়ে যায়নি—তারা রাজপথে এসেছে। বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।”

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “মোরা দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শুরু হরছি। মোগো লগে বরিশালবাসী আছেনতো?”

নাহিদ ইসলাম শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের রাজনৈতিক অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “এই দুই বরিশালের কৃতিসন্তানের রাজনীতির পুনরুত্থান ঘটাবে এনসিপি।”

সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশনারের রিমোট কন্ট্রোল কি ভারত থেকে, না কি সেনাবাহিনী থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়? তারা শাপলা প্রতীক দিতে কেন গড়িমসি করছে?”

তিনি আরও বলেন, “নৌকাকে ব্যালট থেকে বাদ দিতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”

সরকারি দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একসময় ভোট চোর বললে একটি দলের গায়ে লাগত, এখন চাঁদাবাজ বললে আরেক দলের গায়ে লাগে। দেশে এখন প্রচলিত কথায় পরিণত হয়েছে—‘যদি থাকতে চাও জিন্দা, দিতে হবে চান্দা’। এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিবকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বললে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়। রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি বা দল নয়।”

এই সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, কেন্দ্রীয় নেত্রী নাহিদা সরোয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজিনা, ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ