জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ জুলাই) দলটি ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শিরোনামে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে।
এ পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দু’দফা হামলার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ প্রেক্ষাপটে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন এনসিপির দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত।
তিনি লেখেন, “নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা বিদেশে পালিয়ে বসে গোপালগঞ্জে পালিয়ে থাকা গণহত্যাকারীদের উস্কানি দিচ্ছে। তাদের উস্কানিতে পা দিয়ে আজকে আমাদের পদযাত্রাকে ঘিরে পুলিশ ও ইউএনওর গাড়ি পুড়িয়েছে ছাত্রলীগের খুনিরা। অতীতে দেখা গেছে, এই উস্কানিতে পা দিয়ে অনেক পলাতক খুনি বিপ্লবী ছাত্র-জনতার হাতে ধোলাই খেয়ে কারাগারে ঢুকেছে।”
তিনি আরও লেখেন, “সাবধান করে দিচ্ছি—কোনো পলাতক গণহত্যাকারী যেন আজ আবারও একই ভুল না করে। আজ এনসিপির একজন নেতাকর্মীর গায়েও যদি কোনো টোকা পড়ে, উই প্রমিজ—এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। মনে রাখবেন, আমাদের জুলাই পদযাত্রার অন্যতম দাবি হলো গণহত্যার বিচার। প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়নে পালিয়ে থাকা গণহত্যাকারীদের জেলে ঢোকানো না পর্যন্ত আমাদের পদযাত্রা থামবে না। আমরা আসছি। পৌর পার্কেই পথসভা হবে। দেখি কোন বাপের ব্যাটা ঠেকায়!”
এদিকে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা নিজের পোস্টে লেখেন, “মধুমতির কোল ঘেঁষে গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জ সারা বাংলাদেশের। যেমনভাবে কিছু জেলাকে দলীয়করণ করা হয়েছে—বগুড়া, কুমিল্লা—তেমনভাবে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। এই সংস্কৃতিতে আমরা আর ফিরতে চাই না।”
তিনি বলেন, “অনেকে আমাদেরকে ৭১ বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু ৭১ আমাদের, ২৪ আমাদের। ৪৭, ৭১, ২৪—এই জনপদের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। বৈষম্য না কমা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বাংলাদেশের মালিক হতে পারবে না। বাংলাদেশ কারো একার হবে না—বাংলাদেশ হবে সবার।”
তাসনিম জারা আরও লেখেন, “আমাদের পদযাত্রা গোপালগঞ্জকে বাদ দিয়ে নয়। বরং গোপালগঞ্জের সন্তানদের যেন কোনো বৈষম্যের শিকার না হতে হয়, সে জন্যই আমাদের এই লড়াই। গোপালগঞ্জকে সাথেই নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। পথটা দীর্ঘ, চ্যালেঞ্জ অনেক। কিন্তু যখন মানুষ জাগে, তখন ইতিহাস বদলায়।”