26.1 C
Dhaka
Thursday, July 31, 2025

মনোনয়ন না দিলে খালেদা-তারেক-ফখরুলকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতার

advertisment
- Advertisement -spot_img

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ইতোমধ্যে তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা চলছে।

লুৎফর রহমান খোকা বলেন,

শাহ আলম (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী) এর জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে আত্মাহুতি দেব। তারেক রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার বলতে চাই—ফতুল্লা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন,

“এখানে কোনো জোট চলবে না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছুই চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি না খেলেন। শাহ আলমকে বাদ দিলে সেটা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।”

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির বিভিন্ন মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অস্বীকার এবং পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন,

“এটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। অনভিপ্রেত এবং অপ্রয়োজনীয়। একে পাগলের প্রলাপ বলা যায়। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এভাবে কথা বলা উচিত নয়। আমি নেতা-কর্মীদের সংযত ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেব।”

এদিকে নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন,

“মন্তব্যটি আসলে ‘স্লিপ অব টাং’ ছিল। ফতুল্লা আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে প্রার্থী করা হয়, তাহলে ভোটারদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে। বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে হয়তো একটু বেশি বলে ফেলেছি। আমি দলের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যশীল এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। আমার বক্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে দুঃখিত। আমি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আশা করছি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।”

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী শাহ আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে বিএনপি এই আসন ছেড়ে দেয় জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমী-এর জন্য। তবে তিনিও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ