বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো সন্ত্রাসী বিএনপির দলে ঢুকতে পারবে না।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জাপানের রূহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন উপায়ে বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার সতর্ক করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো ঘাতক বা সন্ত্রাসী বিএনপির দলে প্রবেশ করতে পারবে না। গত ১৫-১৬ বছরের অপরাধের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে এবং বিচার অবশ্যই হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিপদের সময় অপরাধীরা কখনো পাশে থাকে না—এটা শেখ হাসিনা ভুলে গেছেন। তিনি যদি এই শিক্ষা জানতেন, তাহলে এতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটাতেন না। তার আচরণ সন্ত্রাসী ধাঁচের, কিন্তু সেসব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। শুধু আদর্শবাদী ব্যক্তিরাই সত্যিকারের নেতৃত্ব দিতে পারে।
এছাড়া গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শেখ হাসিনাকে সরানো হলেও প্রকৃত গণতন্ত্র এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
ভারতের সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি, তা অত্যন্ত ভয়াবহ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। তিনি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে এত উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার মতো চুক্তি কোনো স্বাধীন দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়।”
বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো প্রসঙ্গে এক ব্যাখ্যায় রিজভী বলেন, সরকারি অফিসে ছবির বাধ্যতামূলক প্রদর্শন একটি ফ্যাসিবাদী আইন। আমরা এই আইন মানি না এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের এসব সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে ব্যাহত করছে এবং দেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।