বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তবে ক্ষমতায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকার উদ্দেশ্যে সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া কখনোই সঠিক কাজ নয়। তাই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধন করা।
শনিবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত “স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার কারণে শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে উৎসাহিত হচ্ছেন, এবং ভারত এতে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের যেমন প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি তাদেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে সংস্কার আনার। তবে এটি দ্রুত করা জরুরি। কোনো একক সরকারের পক্ষে নির্ধারিত সময়সীমায় সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই এখন থেকে উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন, সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের নেতা কমরেড নূর ইসলাম।
ড. মোশাররফের বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর জনগণের প্রত্যাশা এবং নির্বাচনী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব উঠে আসে। টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এ সংকট সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।