অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, অল্প সংস্কার করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে, আর বড় পরিসরে সংস্কার করে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ২০২৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের মতে, অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে, আর জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৫ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা চলছে। সরকার মনে করে, এতে স্থানীয় প্রশাসন সক্রিয় হবে এবং নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। তবে বিএনপি এটিকে সংঘাত সৃষ্টি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা বলে মনে করছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, নির্বাচনের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসি জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সুত্রা২৪