ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল যে, দেশে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে আসবে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, এবং তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে পারবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এখন পর্যন্ত সে লক্ষ্যে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আমরা পাচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য উদ্বেগজনক।”
বিএনপি মহাসচিব আরও অভিযোগ করেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি, পূর্ব বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীদের নামও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে ভেতর ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু মহল বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে।”
বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের বার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন, এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও অনলাইনে যুক্ত হয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলটি দ্রুত একটি দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে জনগণের কাছে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিকে আরও সুদৃঢ় করা হবে।
সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, “এখনই সময় জনগণের সচেতন হওয়ার। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সব সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষপাতী। আমরা জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি। তাই, যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
সুত্রা২৪