বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার, বাংলাদেশটা হোক সবার। এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব ধর্মের মানুষের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করতে চাই। এখানে “সংখ্যালঘু” বলে কিছু নেই, সবাই সমান মর্যাদার নাগরিক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দুর্গাপূজায় নাশকতার আশঙ্কায় জামায়াতের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মন্দির পাহারা দিয়েছেন। এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছিল না, ছিল নৈতিক দায়িত্ব। হিন্দু ভাইয়েরা যতদিন প্রয়োজন মনে করেছেন, আমাদের কর্মীরা পাশে থেকেছেন। ভবিষ্যতে কোনো প্রকার পাহারা ছাড়াই পূজা উদযাপন হবে—এই পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীতে যদি কোনো জালিম আপনাদের ওপর জুলুম চালায়, তবে আপনারা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। যদি আল্লাহর ফয়সালা হয় এবং আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তাহলে আমরা আপনাদের পাশে থাকব। একজাতের ফুলে নয়, বহুজাতের ফুল দিয়েই বাগান গড়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধের রাজনীতি করি না। কারণ এসব কখনোই শান্তি বয়ে আনে না। যদি কেউ সহিংসতার শিকার হন, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তার বিচার হবে। কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি পুরনো মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ গদি হারালে দেশে ৫-৬ লাখ কর্মীর মৃত্যু হবে। কিন্তু কোথায়? কেউ মারা যায়নি। প্রতিহিংসা নয়, আমরা শান্তি ও সহাবস্থানে বিশ্বাস করি।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অরুনাভ দে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি অজয় দাস, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি ইয়ামির আলী, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম, রাজানুর রহিম ইফতেখারসহ অনেকে।
আপনি কি চান এই বক্তব্যের একটি সংক্ষিপ্ত ভার্সনও তৈরি করে দিই?